দুমকীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে অন্তঃসত্ত¡া নারীকে মারধরে গর্ভজাত সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বশির আকন ও তাঁর স্ত্রী কচি আক্তারের বিরুদ্ধে। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর ভাশুর জামাল মিয়া মৃত্যু নবজাতককে সামনে রেখে ঘটনার বর্ণনায় সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি আমরা ৫০ বছর পর্যন্ত ভোগ দখল করে আসছি উক্ত জমির দলিল ও পর্চা আমাদের নামে। স্থানীয় বিপ্লব আকন, বসির আকন ও বশির আকনের স্ত্রী কচি আক্তার গত মঙ্গলবার উক্ত জমিতে মাটি কাটতে গেলে আমরা বাঁধা দেই। তখন বশির আকন ও তাঁর স্ত্রী কচি আক্তার আমার ভাই কামালকে মারধর করলে কামালের ৭মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা বেগম তার প্রতিবাদ করলে বশির আকন ও তাঁর স্ত্রী কচি আক্তারের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় বশির আকনের স্ত্রী কচি আক্তার রুমার পেটে লাথি মারে। লাথির আঘাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে গর্ভের সন্তান মৃত জানতে পারে। পরে পটুয়াখালীর একটি ক্লিনিকে বুধবার রাতে সিজারের মাধ্যমে মৃত্যু বাচ্চাকে বের করে আনা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রুমা বেগমের জা আসমা বেগম বলেন, আমার দেবর কামাল মিয়াকে স্থানীয় বশির আকন ও তার স্ত্রী কচি আক্তার মারধর করলে কামালের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা বেগম তার প্রতিবাদ করলে বশির আকনের স্ত্রী কচি বেগম তার পেটে লাথি মারে পরে ব্যথা শুরু হলে প্রথমে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানথেকে একটি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে একটি মৃত্যু সন্তানের জন্ম হয়।
ভুক্তভোগী রুমার শশুর চান মিয়া বলেন, আমার ছেলের কোন সন্তান নাই। আল্লাহ আমার পুত্রবধূর পেটে একটি ছেলে সন্তান দিয়েছিল। সেই সন্তান কে তারা লাথি মেরে মেরে ফেলল।
ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী রাশেদা বেগমের ভাষ্য, দূর থেকে মারামারি দেখেছেন। তবে কে কাকে মেরেছেন তা তিনি বলতে পারেননা। এবিষয়ে অভিযুক্ত কচি আক্তারের বক্তব্য নিতে তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত কচি আক্তারের স্বামী বশির আকন বলেন, ঐদিন এরকম কোন মারামারির ঘটনাই ঘটেনি। তাঁদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ জলিল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কামালের বাবা চাঁন মিয়া মৃত বাচ্চার কথা জানিয়েছেন। তিনি সরেজমিন মৃত বাচ্চা দেখেছেন।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। মারামারির ঘটনা তাঁর জানা নাই এবং এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেননি।