পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং বৈশ্বিক জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে পটুয়াখালীতে শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তরুণরা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন জেলার ১৫টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যরা।
পটুয়াখালী জেলা শহরের ঝাউতলা চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক ও পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের মিলনমেলা ঘটে। ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যেখানে তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে ঝাউতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার ঝাউতলায় ফিরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পটুয়াখালী ভলান্টিয়ারর্স-এর প্রতিনিধি রুবাইয়াত হক মেহেদীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাইটার্স অব বাংলাদেশ-এর খাইরুল ইসলাম মুন্না, গ্রিন পিপল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির আরিফুল ইসলাম, তারুণ্যের আউলিয়াপুর-এর মো. সোহাগ, পটুয়াখালী বøাড এজেন্সির মো. আসিফ, লাল সবুজ সোসাইটির শাহরিয়ার মাহমুদ, এনিমেল লাভারস ফর পটুয়াখালীর আসাদুল্লাহ আল মূসা, ইয়ুথ পাওয়ার-এর মো. জাহিদ, ধুমকেতুর মো. কাওসার, তারুণ্যে সংগঠন বাংলাদেশের মো. হাসিবুল ইসলাম, প্রাউড অফ পটুয়াখালীর মো. রায়হান, ইয়ুথ ফর পলিসির আসাদুল ইসলাম, দক্ষিণ বাংলার মো. রাজু এবং বিডি ক্লিন পটুয়াখালীর মো. আতিকুর রহমান।
বক্তারা বলেন, পটুয়াখালীসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ ঝুঁকির সম্মুখীন। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততার প্রভাব কৃষি, বাসস্থান ও মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তারা দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ ও টেকসই অভিযোজন কৌশলে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মসূচির শেষপর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিটের প্রতীকী সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটের মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতি দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন।
এই কর্মসূচি জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।