রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি নেতার চাঁদা আদায়, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিকার ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি জেলে নিখিল হাওলাদার।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিখিল হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সরকার পরিবর্তনের পর চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির মাতব্বর তার কাছ থেকে মাছ ধরার অনুমতির নামে জোবা প্রতি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ২০ হাজার টাকা দেন। এছাড়াও একইভাবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল মুন্সি ১০ হাজার টাকা এবং তার খালু হাবিব হাওলাদার ১৪ হাজার টাকা নেন বলে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন নিখিল।এরপর ৪ এপ্রিল আবারও ২০ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এর জেরে ৫ মার্চ বিএনপি নেতা বশির নাইয়া তার মাছ ধরার ট্রলার জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং মাঝিকে ধরে বাজারে নিয়ে যান। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন।
৫ এপ্রিল বিএনপি নেতাদের চাঁদা গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জাকির মাতব্বর, বশির নাইয়া, মহিউদ্দিন হাওলাদার, শুভ মুন্সি, মাহাবুলসহ ৪০-৫০ জন লোক তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখান। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, মারধরের হুমকি দেন এবং ভিডিওতে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেন নিখিল।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর তিনি রাঙ্গাবালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে মীমাংসার পরামর্শ দেয়। বর্তমানে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না এবং পরিবারও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিখিল হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ন্যায়বিচারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাসুদ প্যাদা, ইউপি সদস্য হাজী মো: মিজানুর রহমান গাজী, চরমন্তাজ যুবদল সভাপতি মোশারেফ হোসেন, দীপরাজ মজুমদারসহ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের প্রিন্টি ও মিডিয়িার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।