আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের কাতার প্রবাসী মেয়ে শাহীনুর বেগমের বাড়ির পুকুর থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মা শাবানুর বেগম (৭০) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাবানুরকে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ ছেলের। শাবানুর একই গ্রামের মৃত জব্বার হাওলাদারের স্ত্রী। মেয়ে প্রবাসে থাকায় নাতি অন্তরকে নিয়ে সে ওই বাড়িতে থাকত।
আমতলী থানা এবং গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাতার প্রবাসী মেয়ে শাহিনুরের বাড়িতে বসবাস করত শাবানুর বেগম।
সোমবার রাতে নাতি অন্তরকে (১২) নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল সে। সকাল ৬টার সময় অন্তর ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার নানি শাবানুর বেগম বিছানায় নেই। খুঁজতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এক পর্যায়ে বাহিরে খুজতে গিয়ে দেখেন ঘরের সামনে পুকুরে তার নানী শাবানুরের লাশ ভাসছে। এসময় তার ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরের সময় পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নাতি অন্তর বলেন, নানি শাবানুরকে নিয়ে রাতে আমি একবিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে তাকে বিছানায় না পেয়ে উঠে দেখি ঘরের দরজা খোলা। এবং নানির লাশ পুকুরে ভাসছে।
নিহত শাবানুর বেগমের ছেলে শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমার মাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রেখেছে। এটা পরিকল্পিত হত্যা। আমি এঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, লাশের থুতনি এবং গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শাবানুরকে কেউ হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রেখেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে।