স্টাফ রিপোর্টার ঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেম অতঃপর সম্পর্ক। মাত্র ১মাস ১০দিনের মাথায় শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষন করে প্রেমিকাকে। এমন অভিযোগ এনে ভিকটিমের বাবার দায়ের করা মামলায় প্রেমিক অমিত চন্দ্র শীল (১৯) কে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ্য অবস্থায় ভিকটিমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালী শহরের আবাসিক হোটেল পানামায় এ ঘটনা ঘটে। মামলার বরাদ দিয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরাকাঠি গ্রামের নবম শ্রেনীর পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামের হরিচন্দ্র শীল এর ছেলে অমিত চন্দ্র শীলের। অমিত ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় একটি সেলুনে নরসুন্দর হিসাবে বেতনভুক্ত কর্মচারী। মাত্র ১মাস ১০দিনের মাথায় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমধ্যে বিয়ে করার কথা বলে অমিত ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী এসে হোটেল পানামায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী প্রেমিকাকেও সেখানে আসতে বলে। ওসি জানান, বিয়ের কথা বলে অমিত বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেমিকাকে জোড় করে ওই হোটেলের একটি কক্ষে ধর্ষন করে। পরে হোটেল থেকে বের হয়ে বাউফলে তার বাবাকে ফোন করে ঘটনা জানায়। ওইদিন রাতেই ভিকটিমকে নিয়ে তার বাবা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শনিবার রাতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অমিতকে আসামী করে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩ , তারিখ-০৯.১.২১ইং। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গলাচিপার আমখোলা এলাকা থেকে রাতেই অমিতকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার আসামী অমিতকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। ওসি আরো জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পরবর্তি কার্যক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।