পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি, বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ও মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। পরে বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্য পাদদেশে রেজিস্ট্রার (অ. দা.) প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু’র সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু’র মুক্তি সহজ বিষয় ছিলনা। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে না পেরে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে”। তার আগমনের ছোয়ায় পূর্ণতা পায় মহান স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাঙালি জাতি যখন কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি তখন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন হাজার বছরের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই আদর্শ অনুসরন করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার ধারাবাহিকতায় গত ৭ জানুয়ারি নিরঙ্কুশ জয়লাভের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী’র দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার এ মহাবিজয়ে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ।