বরিশাল সেরানিয়াবাত ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ হৃদয়কে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কলাপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তার স্বজন ও সহপাঠীরা।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত বুধবার রাতে বরিশালে বাসায় অসুস্থ হলে তাকে তার স্ত্রী মেহেরুন এলাকার লোকজনের সহায়তায় বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি করে। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করলে হৃদয়ের স্ত্রী মেহেরুন ও তার মা মৃতদেহ ফেলে চলে যায়।
হৃদয়ের ভাই আবদুল্লাহ রাব্বি অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের গলায়, হাতে, বুকের পাশে কালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ভাইকে নির্যাতন করে হত্যা করে সে আত্মহত্যা করেছে এমন নাটক সাজিয়ে তারা নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। তারা যদি হত্যার সাথে জড়িত না থাকে তাহলে কেন হাসপাতালে লাশ ফেলে চলে যাবে। তাই আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হৃদয় হত্যায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও হত্যার কারন অনুসন্ধানে প্রশাসনের কাছে দাবি করেন।
কলাপাড়ার আবুল কালাম মহুরীর জমজ দুই ছেলের মধ্যে হৃদয় প্রায় তিন বছর ধরে ভালোবেসে বিয়ে করে মেহেরুন কে। স্ত্রীকে নিয়ে বরিশালে ভাড়া বাসায় থেকে সে পড়াশোনা করছে।