স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীতে আদালতে চলমান বন্টন মামলা অবমাননা করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ পাঁচ জনকে গুরুতর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের ঠেংগাই গ্রামে।
জানাযায়, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে গত রবিবার রাত ৯টায় প্রতিপক্ষ মোঃ হাকিম হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে এবং মহিলাদেরকে শীলতাহানির চেষ্টা চালিয়ে তাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ সন্ত্রাসী হামলায় মোঃ শহিদ হাওলাদার এর দুই পুত্র মোঃ পলাশ ও মোঃ সজিব, মেয়ে ঝর্ণা আক্তারসহ মোঃ জাকির হাওলাদারের স্ত্রী আসমা আক্তার, মোঃ জলিলের স্ত্রী মোসাঃ হাওয়া বেগম গুরুত্বর আহত হন। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে সজিবের ডান পা ভেঙ্গে দেয়, পলাশের মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে নীলা ফুলা জখম করা সহ শ্লীলতা হানির চেষ্টা চালায়। গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এবিষয়ে আহতদের পিতা মোঃ শহিদ হাওলাদার জানান, সে ছোট বেলা থেকে মানুষের বাড়ীতে কাজ করে অনেক কষ্টে তার দুই ছেলে ও মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছে। একই বাড়ীর মোঃ হাকিম হাওলাদারের সাথে তার জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন ২৩ মে রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টায় মৃত্যু সোবাহান হাওলাদারের ছেলে হাকিম হাওলাদার, মৃত এনছান হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার, মৃত মজিদ হাওলাদারের ছেলে আইয়ুব হাওলাদার, নাসির হাওলাদারের ছেলে হাসান, রাহাত ও রায়হান, আনছার উদ্দিনের ছেলে জসিম, দ্বীন ইসলাম ও নুরুল ইসলাম, বারেক হাওলাদারের ছেলে বশির হাওলাদার, হাকিম হাওলাদারের ছেলে জুয়েল, আতের উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আশ্রাফ হাওলাদার, আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে রাব্বি ও বাচ্চু, ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে রুবেলসহ অজ্ঞাত আরো অনেকেই এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত ছিলো। তার অতি কষ্টে তিল তিল করে মানুষ করা ছেলে মেয়ের উপর এ অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন। এবিষয় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।