দশমিনা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় পটুয়াখালীর দশমিনায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, দশমিনা থানার ওসি মো. জসিম, উপজেলা সিপিপি টিমলিডার পিএম বাদল,সকল সরকারি বেসকারি দপ্তর প্রধান ও উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও সিপিপি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রস্তুত রয়েছে। ‘ইয়াস’ বিধ্বংসী হতে পারে বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই এই প্রস্তুতি। নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে আতঙ্কিত হচ্ছে সিডর, আইলা, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি প্রস্তুতি ঠিক রাখতে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন। এদিকে গভীর নিম্ন চাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠছে। গত দু’দিন থেকে উপকূলীয় এলাকার আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি। আর আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সকল ধরণের প্রস্তুতিসহ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়নেয়াদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর আমরা সাধারণ জনগণের সর্বাত্মক নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।