কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনায় বন্ধ থাকা পর্যটন নগরী খুলে দেওয়ার দাবিতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন করেছে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। শনিবার বিকেলে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় পর্যটন নির্ভর বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সংগঠনের কয়েক শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। ব্যবসায়ীদের দাবী শিল্প প্রতিষ্ঠান,পরিবহনসহ সবকিছু চালু রয়েছে। অথচ বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সরকারের কাছে। পরপর দু’টি ঈদে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটকদের গমনাগমনে বিধিনিষেধ আরোপ করায় পর্যটন নির্ভর বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মূখে পরেছে পর্যটন শিল্প। দীর্ঘ সময় এ খাতে সরকারি কোন প্রনোদনা দেয়া হয়নি। কোন প্রকার আয় না থাকলেও কেবলমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দিতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সরকারের নির্দেশনা পেলে দ্বার খুলবে এ শিল্পের।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা সচল করতে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, শপিংমল ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হলেও এখনো পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়নি। দেশের অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই পর্যটন শিল্পকে দ্রæত খুলে দেওয়া না হলে দেশের অর্থনীতি আরো বিপর্যস্ত হবে। আবাসিক হোটেল কানসাই ইন’র চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, গত ১লা এপ্রিল থেকে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ এখনও কর্মহীন। ট্যুর অপারেটর্স এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)’র আয়োজনে ট্যুরিস্ট গাইড, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট, ট্যুরিস্ট বোট এসোসিয়েশন, স্পীড বোট, ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী, বীচ ক্যামেরাম্যান, ফিস ফ্রাই, শুকটি ব্যবসায়ী, স্ট্রীটফুড ভেন্ডরসহ ১৬টি সংগঠনের ৫ শতাধিক ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, ট্যুর অপারেটর্স এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারী জেনারেল আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও সমুদ্র বাড়ি রিসোর্ট’র পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি আমরা জেনেছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।